শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ইতিহাস
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালে "দি বেঙ্গল কৃষি ইন্সটিটিউট" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলের প্রথম কৃষি শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৭ সালে এটি "পূর্ব পাকিস্তান কৃষি ইনস্টিটিউট" নামধারণ করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম "বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট" এ পরিবর্তন করা হয়। ১৯৩৮সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম বাকৃবিতে স্থানান্তরিত হয়। ১৫ জুলাই ২০০১ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট থেকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়।
ক্যাম্পাস
সবুজ ক্যাম্পাস
শেকৃবি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এ অবস্থিত। শেকৃবি ক্যাম্পাস সবুজের সমারোহে ভরা, নির্মল বাতাস, নানা রঙের ফুল-পাখি-গাছপালায় পরিপূর্ণ ঢাকার বুকে যেন এক আধুনিক গ্রাম। ঢাকার প্রকৃতিপ্রেমীরা এখানে বেড়াতে আসেন একটু বিশুদ্ধ বাতাসের খোঁজে, একটু সবুজে মন ভরাতে। এখানে সবুজ গাছ-গাছালির ফাঁকে ফাঁকেই অবস্থিত একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, আবাসিক ভবন, মসজিদ, মন্দির, ক্যাফেটারিয়া ও অন্যান্য ভবন। এখানে আছে অনেকগুলো ফসলি ও গবেষণার জমি, ফুল, ফল ও ঔষধি বৃক্ষের বাগান, বটতলা, কাশবন, মেঠো পথ, কয়েকটি পুকুর, বিশালাকার খেলার মাঠ ইত্যাদি।
উপাচার্যগণের তালিকা
নাম | হইতে | থেকে |
---|
অধ্যাপক মোঃ শাদাত উল্লা | ১৫.০৭.২০০১ | ০৯.০৯.২০০১ |
অধ্যাপক ড. এ. এম. ফারুক | ০৫.১২.২০০১ | ০২.০৩.২০০৮ |
হাবিব আবু ইব্রাহীম | ০৩.০৩.২০০৮ | ১৬.০৭.২০০৮ |
অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ-ই-আলম | ১৭.০৭.২০০৮ | ১৫.০৭.২০১২ |
অধ্যাপক মোঃ শাদাত উল্লা | ২৬.০৭.২০১২ | ২৫.০৭.২০১৬ |
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ | ২৬.০৭.২০১৬ | চলমান |
শিক্ষা কার্যক্রম
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি কোর্স চালু রয়েছে- স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট। এখানে প্রায় ১৭০ জন শিক্ষক শিক্ষাদান করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে চারটি অনুষদ, ৩১ টি বিভাগ।
ডিজিটালাইজেশন
বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি ক্লাশরুমে রয়েছে সেন্ট্রালি অর্গানাইজড মাল্টিমিডিয়া সুবিধা। বাংলাদেশের একমাত্র ভার্চুয়াল ক্লাশরুম রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে বসে ছাত্ররা বিশ্বের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভার্চুয়াল সুবিধাযুক্ত) যে কোন শিক্ষকের ক্লাশে অংশ নিতে পারবে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের লেকচার শুনতে পাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউরেসের অর্থায়নের পাশাপাশি ইউজিসি, বিএআরসি, এফও, ইউনেস্কো ও হেকেপসহ অনেক প্রকল্পে কাজ চলছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাথে নিয়ে শেকৃবি গড়ে তুলেছে কৃষি থিসিস এবং জার্নালের সর্ববৃহৎ
অনুষদসমূহ
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪ টি অনুষদের অধিনে ৩১ টি বিভাগ রয়েছে ।
- কৃষি অনুষদ
- কৃষিব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদ
- পশুপালন ও চিকিৎসা অনুষদ
- ফিশারিজ এবং একুয়াকালচার অনুষদ
ইনস্টিটিউট
- ইনস্টিটিউট অফ সীড টেকনোলজি
বিভাগসমূহ
কৃষি অনুষদের বিভাগ সমূহ
- কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
- উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি সম্প্রসারণ এবং তথ্যপদ্ধতি বিভাগ
- কীটতত্ত্ব বিভাগ
- কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজননবিদ্যা বিভাগ
- উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
- প্রানরসায়ন বিভাগ
- কৃষি রসায়ন বিভাগ
- কৃষি বনায়ন এবং পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
- মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ
- কৃষি প্রকৌশল বিভাগ
- জৈব প্রযুক্তি বিভাগ
- ভাষা বিভাগ
- বীজ প্রযুক্তি বিভাগ
কৃষিব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদের বিভাগসমূহ
- কৃষিব্যবসা ও বিপণন বিভাগ
- অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- দারিদ্র্য ও উন্নয়ন গবেষণা বিভাগ
- কৃষি অর্থনীতি বিভাগ
- কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ
পশুপালন ও চিকিৎসা অনুষদের বিভাগসমূহ
- পশু উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- পশু পুষ্টি, কৌলিতত্ত্ব ও প্রজনন বিভাগ
- শারীরস্থান কোষতত্ত্ব ও শারীরবিদ্যা
- ডেইরি সায়েন্স বিভাগ
- মেডিসিন ও পাবলিক হেলথ বিভাগ
- মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারা সাইটোলজি
- রোগতত্ত্ব বিভাগ
- ফারমাকোলজি ও টক্সিকোলজি
- পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগ
- সার্জারি ও থেরিওজেনলজি
গ্রন্থাগার
একাডেমিক ভবনের পশ্চিম ব্লক একসময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে প্রশাসনিক ভবনের ঠিক পূর্ব পাশে ছয়তলা বিশিষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং আরএফআইডি টেকনোলজি সমৃদ্ধ র্এই গ্রন্থাগারে রয়েছে ৪০,০০০ এরও বেশি দেশি বিদেশি বই, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল ও ম্যাগাজিনের এক বিশাল সংগ্রহশালা। এছাড়াও এই গ্রন্থাগারের জন্য একটি অ্যাপ SAUL ডেভেলপ করা হয়েছে যার মাধ্যমে যখন তখন যেখানে সেখানে বসে দরকারি বই পড়া ও তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত শেকৃবি সহ অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ও থিসিস পেপারের জন্য একটি ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করা হয়েছে ডঃ মোঃ সেকেন্দার আলির তত্ত্বাবধানে ইউজিসি ও হেকেপ এর সহায়তায়। ভিজিট
গবেষণা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্ররা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এবং কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মাধ্যমে গবেষণা করে নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করে যাচ্ছেন। উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মধ্যে সাউ সরিষা-১, সাউ সরিষা-২, সাউ সরিষা-৩, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আলুবীজ ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সফলতা, পমেটো, জামারুসান মূলা, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বিভিন্ন বিদেশী ফুলের উৎপাদন সফলতা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কৃতী শিক্ষক কর্তৃক উদ্ভাবিত ৮-১০ টি ধানের জাত প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।
[৫]অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া দেশের উচ্চ ফলনশীল সাউ সরিষা-১, সাউ সরিষা-২ ও সাউ সরিষা-৩ উদ্ভাবন করেন। অনেক শিক্ষক পেঁয়াজ, বিভিন্ন ফুল, ফল, বাসমতি ধান, মুলা নিয়ে গবেষণা করছেন। ড. একরামুল হকের উদ্যোগে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে আধুনিক টিস্যু কালচার ল্যাব। ড. এ. এফ. এম. জামাল উদ্দিন কাজ করছেন ফুল নিয়ে। তিনি দেশে প্রথম ল্যাসেনথিরাস গাছের ফুল ফুটান। তাঁরই নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব খামারে গোলাপ বাগানে নানা প্রজাতির লাল, হলুদ, সাদা, গোলাপী, পার্পল, কালো ও সবুজ রঙের প্রায় অর্ধশতাধিক গোলাপের উপর গবেষণা করা হয়। এসব প্রজাতির মধ্যে রয়েছে রেড বেবি, সুইট লাভ, পিংক স্মাইল, মিনি মনি, মিসিং লাভ, গ্লোমি সাম, চারমিং লেডি, লেমন স্টার, ড্রিম বাংলা, তাজমহল, প্রিনটেড মোম, গ্রেজি লাভ বাই কালার, ইয়োলো স্টার, স্লিপি মোম, পেইন ব্লু, বিজয় ৭১, সাউ কিং। এছাড়া তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে ফসলের উপর আর্সেনিকের প্রভাব হ্রাসের উপর গবেষণা করছেন। উদ্যানতত্ত্ব খামারে গড়ে উঠেছে জার্মপাজম সেন্টার, জার্মপাজম কেন্দ্রটিতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের ফল, ফুল ও ক্যাকটার্সের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ফুল, ফল, অর্কিড ও মসলার চারা সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। এই সেন্টারে বিদ্যমান বিভিন্ন জাত একটি উন্নত মানের নার্সারি তৈরির উপকরণ সরবরাহ করবে এবং এটা হবে দেশী বিদেশী ও বিরল প্রজাতির উদ্যান ফসলের আধার। শেকৃবি বহিরাঙ্গন বিভাগ কৃষি প্রযুক্তি কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এনজিওর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকদের মাঝে হাঁস-মুরগি পালন এবং ধান ও সরিষার আধুনিক চাষাবাদের ওপর ট্রেনিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাছাড়া মানিকগঞ্জের ঘিওর, শিবালয়, দৌলতপুর, সাটুরিয়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আমন ধানের চারা ও সবজির বীজ পৌঁছে দিয়েছে বহিরাঙ্গন বিভাগ।
এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এ এস এম কামাল উদ্দিন দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিলেন অমৃত কলার চাষ। তিনি পেঁপে ও আনারসের লাগসই চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। ড. নূর মোহাম্মদ মিয়া ও ড. ছিদ্দিক আলীসহ অনেক কৃষিবিদ উচ্চ ফলনশীল ধান বি.আর-৩, বি আর-৪, বিআর-১০, বি আর-১১, বি আর-১৪, বি.আর-১৯, বি.আর-২৩ জাত আবিষ্কার করে শুধু নিজ দেশে নয় প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, পশ্চিম আফ্রিকায় স্বীকৃতি পেয়েছেন। কাজী পেয়রার জনক ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র । ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা এবং ড.এস.এম জামাননামে দুজন কৃষি বিজ্ঞানী বাংলাদেশ সরকারের ‘সায়েন্টিস্ট এ্যামিরিটস’ পদে ভূষিত হয়েছিলেন। তাছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কৃষিতে অবদান রাখার জন্য এ প্রতিষ্ঠানের অনেক গ্রাজুয়েট স্বাধীনতা পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, বিজ্ঞান একাডেমিক স্বর্ণপদক ও শেরেবাংলা পদকসহ বিভিন্ন ধরনের পদক লাভ করেন। ইনস্টিটিউট থাকাকালীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পাশাপাশি পেয়ারা ও কলার প্রজনন, জাত নির্বাচন, ছত্রাক ও কৃমিজনিত রোগ বিষয়ে গবেষণা, পানের জাত নির্বাচন, শিম জাতীয় সবজি-ফসল, ডাল ফসল, ধান, গমসহ প্রভৃতি ফসলের ওপর গবেষণা হতো।
[১২]গবেষণা সংগঠন
- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস)
- ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্র
মিনি আবহাওয়া স্টেশন
কৃষি গবেষণা কাজে আবহাওয়া সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য একটি মিনি আবহাওয়া স্টেশন রয়েছে।
প্রকাশনা
- SAU বার্তা
- জার্নাল অব শেরেবাংলা এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি
আবাসিক হল
কাজী নজরুল ইসলাম হল
বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুইটি হল রয়েছে। প্রতিটি হল পরিচালনার দায়িত্বে আছেন একজন প্রভোস্ট এবং একাধিক সহকারী প্রভোস্ট।
ছাত্র হল
- শেরেবাংলা হল (প্রভোস্ট- মো: হাসানুজ্জামান আকন্দ)
- নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল (প্রভোস্ট- অধ্যাপক ড. ইসহাক)
- কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল (প্রভোস্ট- অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন)
ছাত্রী হল
- বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল (প্রভোস্ট- অধ্যাপক নুরজাহান বেগম)
- কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হল (প্রভোস্ট- অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস)
ভর্তি কার্যক্রম
স্নাতক কোর্সে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা
- বিজ্ঞান গ্রুপ থেক এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
- এইচএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়সমূহেরর প্রত্যেকটিতে নূন্যতম জিপি ৩.০০ সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
- এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে ইংরেজীতে নূন্যতম জিপি ৩.০০ থাকতে হবে।
- এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান এর প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে।
- GCE 'O' লেভেল এবং 'A' লেভেলে পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে 'O' লেভেল পরীক্ষায় ৫টি পেপারে নূন্যতম B গ্রেড এবং 'A' লেভেল পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত বিষয়সমূহের প্রত্যেকটিতে নূন্যতম B গ্রেড থাকতে হবে।
স্নাতক (সম্মান) কোর্সে আসন সংখ্যা
→সর্বমোট আসনসংখ্যা = ৬২০, ★কৃষি অনুষদ = ৩৫০, ★কৃষিব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদ=১২০, ★এনিম্যাল সায়েন্স ও ভেটেরিনারী মেডিসিন __অনুষদ=১০০, ★ফিশারিজ ও অ্যাকুয়াকালচার অনুষদ=৫০
অযোগ্যতা
লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বে যদি কোন ছাত্রের ৭০% ক্লাশ উপস্থিতি না থাকে তবে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্সে ভর্তি
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২ বার (জানুয়ারী-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর সেমিস্টারে) মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্সে ভর্তি করানো হয়। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের (কৃষি সম্পর্কিত) ছাত্ররা এই দুটি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৯০ অর্জনকারীরা সরাসরি পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা
- প্রশাসনিক ভবন
- তিনটি অনুষদ ভবন
- কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
- কেন্দ্রীয় গবেষণাগার
- অডিটোরিয়াম
- একাধিক সেমিনার কক্ষ
- ছাত্রছাত্রীদের পাঁচটি আবাসিক হল ( ছাত্রদের ৩ টি এবং ছাত্রীদের ২ টি)
- পোল্ট্রি ফার্ম
- গোশালা
- মেশিনারি ফার্ম
- গবেষণা প্লট
- নিজস্ব বাস ও মাইক্রোবাস
- মসজিদ
- মন্দির
- ক্যাফেটারিয়া
- জিমনেসিয়াম
- মেডিকেল সেন্টার
- খেলার মাঠ
- শহীদ পারভেজ মার্কেট
- ফার্স্ট ট্র্যাক ও এটিএম বুথ
- সাইবার ক্যাফে
- ওয়াইফাই
- একাধিক পুকুর
সহশিক্ষা কার্যক্রম
- শেকৃবি সাহিত্য সংসদ
- মানবকণ্ঠ সেতুবন্ধন, শেকৃবি
- এগ্রি হেরিটেজ এক্সপ্লোর এন্ড কনজার্ভেশন এসোসিয়েশন (AHECA)
- রোভার স্কাউট
- প্রতিফলন
- বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন)
- শেকৃবি কম্পিউটার ক্লাব
- কিষাণ থিয়েটার
- শেকৃবি শুভসংঘ
- সাউ ইয়েস গ্রুপ
- সাউ ডিবেটিং সোসাইটি
- শেকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব
- শেকৃবি ফটোগ্রাফী ক্লাব
- নীলিমা
- উদ্দীপন
- সপ্তক
- শেকৃবি সাংবাদিক সমিতি
- প্রথম আলো বন্ধুসভা
- স্বপ্ন সিঁড়ি